অবাহ্নিত অবসর
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:০১:০৮ রাত
অবাহ্নিত অবসর
.
চাঁদ-তারা ফুল-পাতা সাগর-নদী আর
একজন 'তুমি' ছাড়া কবিতা লেখা যায় কি?
'কেন নয়? লিখেছি কত...
চাও যদি দেখাই শত শত!'
.
সেদিন অমাবশ্যার রাতে, হঠাৎ করে
পুর্ণিমা এলো যেন আমার দ্বারে।
আঁধারে এক অন্ধ জোনাকি পোকার মত
ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়েও আলোর দেখা পেলাম না।
.
স্ট্রীট ল্যাম্পের আলোয় বসে থাকা
সেই অন্ধ ওয়াচম্যানের মত, কিছুক্ষণ
পর পর 'জাগতে রহো' বলে যাওয়া
পারে কি ঠেকাতে নিজের চিন্তার চুরি ।
.
ঘন ঘোর বরষায়, একগুচ্ছ কদমকে
ঢেকে দিলেই কি পারা যায় বৃষ্টির হাত থেকে
ওর বিবর্ণতাকে রোধ করা? কদমের জন্ম-ই তো
জলের পরশ পেয়ে উল্লাসে নেচে উঠা,
আর বিবর্ণ হওয়াতেই যে ওর আনন্দ!
.
যেমন আমার আনন্দ, তোমার আশে পাশে
ইচ্ছেগুলোর দেয়া কষ্টে নীল হতে হতে-
ভুলে যাওয়া যে এখন আমার অখন্ড অবসর!
কষ্টগুলোকে নিয়ে যাই না কেন তোমার উপহার ভেবে-
অবাহ্নিত সেই আমার শহরে।।
বিষয়: সাহিত্য
৮৯৮ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি এখনো অফিসে। আগামীকাল থেকে বন্ধ, তবে অফিস দুপুর পর্যন্ত, জাস্ট বিদায় নেবার আনুষ্ঠানিকতা। আজ শিপমেন্ট রয়েছে। তাই এখনো ব্লগেই রয়েছি।
আপনার অনুভূতির জন্য ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সহমত আপনার সাথে।
সুন্দর অনুভূতি রেখে গেলেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য এবং অনেকগুলো লাল গোলাপের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
"জাগতে রহো" না বলে অন্য কোন বাংলাশব্দ(হুঁশিয়ার) বললে আরো ভালো লাগতো!! আমাদের দেশে ঐকথা এখন আর কেউ বলেনা!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ধন্যবাদ।
লিখবার ঐ মুহুর্তটিতে এই শব্দটি-ই কেন জানি মনে হল। মূল লিখায় এডিট করে নেবক্ষন। শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
......কদমের জন্ম-ই তো
জলের পরশ পেয়ে উল্লাসে নেচে উঠা,
আর বিবর্ণ হওয়াতেই যে ওর আনন্দ!
অসাধারণ ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা......
অনেক ভালো লাগলো আপনার রেখে যাওয়া অনুভূতি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন